নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামাজিক অস্থিরতা দূরীকরণে ভুমিকা রাখতে পারে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা পজিটিভ বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক। ফতেয়াবাদ প্রমিতি সাংস্কৃতিক একাডেমির অষ্টম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
সোমবার (১ মে) ফতেয়াবাদের প্রমিতি সাংস্কৃতিক একাডেমি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আহসান লিটন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ চৌধুরী মুহাম্মদ জসিম, লেখক সাংবাদিক ও দৈনিক নিউজ চট্টগ্রামের সম্পাদক মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, হাটহাজারী ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক চৌধুরী মুহম্মদ জিয়া।
প্রমিতি সাংস্কৃতিক একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল এর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন প্রমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক সাজু মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর মোর্শেদ, অর্থ সম্পাদক বাহাদুর আলম, হট ফুড রেস্টুরেন্টের পরিচালক গাজী আক্কাস, মর্নিং ডিউ স্কুলের পরিচালক রাশেদুল আলাম, এস এম আসাদ, স্বদেশে আবৃত্তি সংগঠনে সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া চন্দ্রশেখর নিশি, অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন হোসাইন ইলিয়াস, মতো নুরুল আবছার, মোঃ ওমর ফারুক প্রমুখ।
বক্তরা বলেন আমাদের রয়েছে ইতিহাসসমৃদ্ধ এক বিশাল সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল। তবে অপসংস্কৃতির আগ্রাসনে আজ আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন; যা আমাদের জন্য এক অস্তিত্বের সংকট। তাই বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক পরিবারের সন্তানদের সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে তাদের সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠতে দিতে হবে। দেশজ শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতিমি সাংস্কৃতিক একাডেমি গড়ে উঠেছে।
কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, প্রমিত উচ্চারণ, বাদ্যযন্ত্র, উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রতিমি সাংস্কৃতিক একাডেমি। অষ্টম বর্ষপূতি উপলক্ষে দিনব্যপী আবৃত্তি, অভিনয়, নাচ, গান পরিবেশনসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।